আজ বৃহস্পতিবার, ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জ ইউনিয়নে মনোনয়ন যুদ্ধে আ.লীগ প্রার্থীরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জমে উঠেছে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে নবীন-প্রবীণের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান মেম্বার মহিলা মেম্বার পদে তীব্র লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রাথীর্রা প্রচারণা চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে রয়েছে। এখন পর্যন্ত যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হোসেন রানু, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মেম্বার ,এড. কবির হোসেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান রিপন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর আওয়ামী পরিবারের সন্তান আনছার আলী, জুয়েল মাস্টার, সাবেক রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন । এদের প্রত্যেকের এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তারা সবাই দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত মনোনয়ন যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে ।

গত নির্বাচনে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আবু হোসেন রানু । তিনি এড. কবির হোসেন কে পরাজিত করেছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর রানু এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে। যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ দিন যাবত দলের পক্ষে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সালাউদ্দিন মেম্বার ।

রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের ফুসফুস বলা হয় যুব লীগকে । সেই যুবলীগের প্রার্থী মুশফিকুর রহমান রিপন। যুবনেতারা চাইলে তিনিও হতে পারেন নৌকার মাঝি। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রাথীর কাছে হেরে গেছেন এড. কবির হোসেন। তিনি চেয়ারম্যান হতে দীর্ঘ দিন যাবত তার দল আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চাচ্ছেন। এবার দল চাইলে তাকেও মনোনয়ন দিতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার ছাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ বিদ্যাপিঠ সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্র লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছাত্র লীগ তার পক্ষে থাকলে মনোনয়নের হিসাবটা অন্যরকম হতে পারে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড যদি পরিবারের রাজনৈতিক বিষয়টা দেখে তাহলে আনছার আলী ও জুয়েল মাস্টার এগিয়ে থাকবে। তারা দুই জন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রাচীন সর্ববৃহৎ দল। এখানে একাধিক প্রার্থী থাকাটাই স্বাভাবিক। দলীয় মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীদের অতীত এবং বর্তমান কর্মকান্ড যাচাই বাছাই করে যাকে মনোনয়ন দেবে সেই হবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায় নি। তাদের তেমন কোন প্রার্থীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তবে এখানে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন আগামী ১২ সেপ্টেম্বর, যাচাই-বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ সেপ্টেম্বর। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

সর্বশেষ সংবাদ